সম্পর্ক মধুর হওয়া ছাড়াও চুমুর রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারী দিক

প্রতীকী ছবি/পিক্সাবে

ফ্রেব্রুয়ারি মাস এলেই যেন বাড়তি হাওয়া লাগে প্রেমের পালে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিশ্ব মাতবে প্রেমে। ভালোবাসা দিবসের আগে এই মাসটিতে রয়েছে যুগলদের জন্য আরও কিছু দিবস। ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তো উদযাপিত হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন উইক বা ভালোবাসার সপ্তাহ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে “কিস ডে”।

কিস শব্দের অর্থ চুমু বা চুম্বন। মূলত ভালোবাসার সম্পর্ক টেকসই করার জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। এই দিন প্রিয় মানুষকে চুম্বনের মাধ্যমে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন যুগলরা।

ভালোবাসার প্রকাশ তো বটেই, দু’জন মানুষের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ প্রকাশ হলো চুমু। চুমু খাওয়ার মতো মিষ্টি অনুভূতি তাই খুব কমই হয়। তবে, শুধু ভালোবাসার প্রকাশ ও সম্পর্ক মধুর করা ছাড়াও চুমু খাওয়ায় কিছু শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত উপকারও রয়েছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা। চলুন, জেনে  নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

উদ্বেগ কমায়

চুমু খাওয়ার মুহূর্তেই মস্তিষ্কের কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমে যায়। তাই প্রবল মানসিক অশান্তির মুহূর্তে প্রিয়জনের ঠোঁটে চুমু খেলে অনেকটা শান্ত লাগে।

দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্য

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে চুমু খেলে আপনার দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সঙ্গীর ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সময় পরস্পরের লালা মিশে যায় এবং তাতেই দাঁত, মাড়ি আর মুখের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় বলে জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

মন ভালো থাকে

ভালোবাসার মানুষকে চুমু খেলে বা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সময় শরীরে একগুচ্ছ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। অক্সিটোসিন, ডোপামাইন আর সেরোটোনিন নামের এই সব হরমোন আপনাকে মানসিক দিক থেকে চাঙা করে তোলে যা সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বাড়িয়ে দেয়। যার ফলস্বরপ ফুরফুরে থাকে মন।

রক্তচাপ কমে

চুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীরের শিরা আর ধমনীগুলো প্রসারিত হয়, তাতে শরীরে রক্ত স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হতে পারে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ব্যায়াম

চুমু খাওয়ার সময় আপনার মুখের ৩০টি পেশি সচল হয়ে ওঠে। ফলে মুখের একধরনের ব্যায়াম হয়ে যায়। পাশাপাশি চুমু খেলে প্রতি মিনিটে ২৬ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে। কাজেই জিমে যাওয়ার উপকারিতা পেতে পারেন চুমু খেয়েই!

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

চুমুর সময় সঙ্গীর মুখের লালার সঙ্গে আপনার মুখের লালা মিশে যায়। ফলে আপনার শরীর নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

বয়সের ছাপ কমায়

চুমু খেলে মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। কাজেই মুখের ত্বক টানটান, সতেজ থাকে।

সূত্র: সম্পর্ক বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে, ট্রিবিউন ডেস্ক